এক কালে এক দেশে ছিল মস্ত বড় বক্তা,
কথার মারে শত্রুরা সব হত কাঠের তক্তা।
যুদ্ধ শুরু হবার আগে বাণী দিলেন মিছে,
ঝাপিয়ে পড় নিয়ে সাথে যার যা কিছু আছে।
ঝাপানো তো দুরের কথা ২৫ সে মার্চ রাতে,
ডিনার সেরেই ধরা দিলেন শত্রু সেনার হাতে।
সঙ্গী সাথীর মাথার উপর আকাশ ভেঙ্গে পড়ে ,
"যুদ্ধ যদি করতেই হয় করব কিসের জোরে ?"
অস্ত্র লাগে , অর্থ লাগে, লাগে লিডারশিপ;
সবার আগে জান বাচাতে লাগবে ভারত ট্রিপ।
লুঙ্গি পরেই রওনা দিলেন করতে বিহিত একটা,
গান্ধী দিকে বলতে হবে ভালো করে ফ্যাক্ট টা।
ওদিকে এক পোংটা মেজর হাতে নিয়ে অস্ত্র,
ভাবটা তিনি এমন নিলেন যেন ফিদেল কাস্ত্র।
ভাবের ঠেলায় শত্রুসেনা হচ্ছে কুপোকাত,
দেশের লোকেও উঠলো জেগে মুষ্টিবদ্ধ হাত।
৩০ লক্ষ জীবন গেল ৯ মাস যুদ্ধ শেষে ,
নেতার ফেরার সময় হলো সদ্য স্বাধীন দেশে।
দেশের নেতা দেশে ফিরেই দেশের কাজে মন
দেশ গড়তে সুশাসনের ব্যাপক প্রয়োজন।
সেই মতনই নেতা শুরু করলেন সিলেকশন
সিলেকশন এ কেউ বা খুশি কারো খারাপ মন।
নতুন অনেক নেতা গজায় , তাদের অনেক দাম
তাদের কর্মে নষ্ট হয় আসল নেতার নাম।
নেতা সরল মনের মানুষ দেশপ্রেমে অন্ধ
বুঝতে তিনি পারেননি তাই ষড়যন্ত্রের গন্ধ
তারই দলের তার ই দেশের কয়েকটা দুর্বৃত্ত
তারই সেনাদল আর তার সভার আমাত্য
মিলেমিশে করলো ফায়ার তারই বুকের পরে
বিদায় নিলেন সবার নেতা কাক ডাকা সেই ভোরে।
দেশের মালিকানা নিয়ে লাগলো ধুন্ধুমার
এই সুযোগে গাড়ল খুঁটি সামরিক সরকার
উর্দি খুলে আর্মি এসে বসলো সিংহাসনে।
রাষ্ট্রপতি পোংটা মেজর সকল লোকে চেনে।
মেজর সাহেব বেজায় কড়া ঘুরিয়ে বিশাল ডান্ডা
সবকটাকে শিক্ষা দিলেন দেশটা হলো ঠান্ডা।
অশান্তির এক ঝাপটা এলো কপট স্বাধীন দেশে
রাষ্ট্রপতির প্রানটা গেল সেনাপতির নির্দেশে।
জনগনকে ভুজুং ভাজুং দিয়ে বছর শেষে
সেনাপতিই রাষ্ট্রপতি হলেন অবশেষে।
রাষ্ট্রপতির শখ হলো তাই হলেন তিনি কবি
দখল নিল আর্মি এসে ,সারা দেশের সবই।
উর্দিবিহীন সেনা দলের ব্যাপক দুঃশাসনে
দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে দিনে দিনে।
রক্ত ঢালে পাড়ার ছেলে, য়ুনিভার্সিটির ছাত্র
রাষ্ট্রনেতা জেলে ঢোকেন বাঁচাতে নিজের গাত্র।
এলো দেশে স্বাধীন মত আর সুশাসনের মন্ত্র
নতুন দিনের শুরু হলো- এলো গণতন্ত্র।
শুরুর কটা দিন আসলে বেশ চলে যাচ্ছিল
শিক্ষার হার , আর জিডিপি ভালই তো বাড়ছিল
কি যেন কি হয়ে গেল লাগলো যে গোলমাল
শুরু হলো মারামারি , বয়কট, হরতাল।
জিডিপিও বাড়ছে আর বাড়ছে সব কিছুই
বোমাবাজি , চাঁদাবাজি মুখ বুজে সব সই।
ডেমোক্রেসির ছদ্মবেশে রাজতন্ত্র এলো
সুখ শান্তি যাই বা ছিল সবাই বিদায় নিল
দেশটা কখন সবার ছিল সবাই গেছে ভুলে
দেশের মানুষ বর্গা খাটে দুই ডাকিনীর ছলে
উন্নয়নের জোয়ারে নাকি দেশ যাচ্ছে ভেসে
খবর শুনে গনি মিয়া ফেটে পড়েন রোষে।
প্রশ্ন ফাঁসে জাফর সাহেব করেন হাহাকার
সেতুর নামে, আমের নামে, বন্ধু একাকার
দুই নম্বর টিমের কাছে হারে বাঘের দল
ব্রাজিল খারাপ খেললে নামে বাপ্পির চোখে জল।
তার চেয়ে ভেবেই দেখো এটাই কি নয় ভালো ?
ছেড়ে দিয়ে সব পিছুটান যেদিক খুশি চলো ।
6/19/2014
http://bangla.bdnews24.com/glitz/article805690.bdnews
কথার মারে শত্রুরা সব হত কাঠের তক্তা।
যুদ্ধ শুরু হবার আগে বাণী দিলেন মিছে,
ঝাপিয়ে পড় নিয়ে সাথে যার যা কিছু আছে।
ঝাপানো তো দুরের কথা ২৫ সে মার্চ রাতে,
ডিনার সেরেই ধরা দিলেন শত্রু সেনার হাতে।
সঙ্গী সাথীর মাথার উপর আকাশ ভেঙ্গে পড়ে ,
"যুদ্ধ যদি করতেই হয় করব কিসের জোরে ?"
অস্ত্র লাগে , অর্থ লাগে, লাগে লিডারশিপ;
সবার আগে জান বাচাতে লাগবে ভারত ট্রিপ।
লুঙ্গি পরেই রওনা দিলেন করতে বিহিত একটা,
গান্ধী দিকে বলতে হবে ভালো করে ফ্যাক্ট টা।
ওদিকে এক পোংটা মেজর হাতে নিয়ে অস্ত্র,
ভাবটা তিনি এমন নিলেন যেন ফিদেল কাস্ত্র।
ভাবের ঠেলায় শত্রুসেনা হচ্ছে কুপোকাত,
দেশের লোকেও উঠলো জেগে মুষ্টিবদ্ধ হাত।
৩০ লক্ষ জীবন গেল ৯ মাস যুদ্ধ শেষে ,
নেতার ফেরার সময় হলো সদ্য স্বাধীন দেশে।
দেশের নেতা দেশে ফিরেই দেশের কাজে মন
দেশ গড়তে সুশাসনের ব্যাপক প্রয়োজন।
সেই মতনই নেতা শুরু করলেন সিলেকশন
সিলেকশন এ কেউ বা খুশি কারো খারাপ মন।
নতুন অনেক নেতা গজায় , তাদের অনেক দাম
তাদের কর্মে নষ্ট হয় আসল নেতার নাম।
নেতা সরল মনের মানুষ দেশপ্রেমে অন্ধ
বুঝতে তিনি পারেননি তাই ষড়যন্ত্রের গন্ধ
তারই দলের তার ই দেশের কয়েকটা দুর্বৃত্ত
তারই সেনাদল আর তার সভার আমাত্য
মিলেমিশে করলো ফায়ার তারই বুকের পরে
বিদায় নিলেন সবার নেতা কাক ডাকা সেই ভোরে।
দেশের মালিকানা নিয়ে লাগলো ধুন্ধুমার
এই সুযোগে গাড়ল খুঁটি সামরিক সরকার
উর্দি খুলে আর্মি এসে বসলো সিংহাসনে।
রাষ্ট্রপতি পোংটা মেজর সকল লোকে চেনে।
মেজর সাহেব বেজায় কড়া ঘুরিয়ে বিশাল ডান্ডা
সবকটাকে শিক্ষা দিলেন দেশটা হলো ঠান্ডা।
অশান্তির এক ঝাপটা এলো কপট স্বাধীন দেশে
রাষ্ট্রপতির প্রানটা গেল সেনাপতির নির্দেশে।
জনগনকে ভুজুং ভাজুং দিয়ে বছর শেষে
সেনাপতিই রাষ্ট্রপতি হলেন অবশেষে।
রাষ্ট্রপতির শখ হলো তাই হলেন তিনি কবি
দখল নিল আর্মি এসে ,সারা দেশের সবই।
উর্দিবিহীন সেনা দলের ব্যাপক দুঃশাসনে
দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে দিনে দিনে।
রক্ত ঢালে পাড়ার ছেলে, য়ুনিভার্সিটির ছাত্র
রাষ্ট্রনেতা জেলে ঢোকেন বাঁচাতে নিজের গাত্র।
এলো দেশে স্বাধীন মত আর সুশাসনের মন্ত্র
নতুন দিনের শুরু হলো- এলো গণতন্ত্র।
শুরুর কটা দিন আসলে বেশ চলে যাচ্ছিল
শিক্ষার হার , আর জিডিপি ভালই তো বাড়ছিল
কি যেন কি হয়ে গেল লাগলো যে গোলমাল
শুরু হলো মারামারি , বয়কট, হরতাল।
জিডিপিও বাড়ছে আর বাড়ছে সব কিছুই
বোমাবাজি , চাঁদাবাজি মুখ বুজে সব সই।
ডেমোক্রেসির ছদ্মবেশে রাজতন্ত্র এলো
সুখ শান্তি যাই বা ছিল সবাই বিদায় নিল
দেশটা কখন সবার ছিল সবাই গেছে ভুলে
দেশের মানুষ বর্গা খাটে দুই ডাকিনীর ছলে
উন্নয়নের জোয়ারে নাকি দেশ যাচ্ছে ভেসে
খবর শুনে গনি মিয়া ফেটে পড়েন রোষে।
প্রশ্ন ফাঁসে জাফর সাহেব করেন হাহাকার
সেতুর নামে, আমের নামে, বন্ধু একাকার
দুই নম্বর টিমের কাছে হারে বাঘের দল
ব্রাজিল খারাপ খেললে নামে বাপ্পির চোখে জল।
তার চেয়ে ভেবেই দেখো এটাই কি নয় ভালো ?
ছেড়ে দিয়ে সব পিছুটান যেদিক খুশি চলো ।
6/19/2014
http://bangla.bdnews24.com/glitz/article805690.bdnews
0 comments:
Post a Comment