এই বইয়ের রিভিউ লেখার সাধ্য আমার নাই।তবে অনুভুতির তরজমা তো করতেই পারি। এই উপন্যাস একাধিক ব্যর্থ মানুষদের উপাখ্যান। রশীদ সাহেব মেয়ের বিয়ে দিতে পারছেন না , ডিগ্রীধারি বেকার দুই ছেলে সহ এক পরিবারে রোজগার চালু রাখতে বুড়ো বয়সে ছাত্র পড়াতে হচ্ছে। স্ত্রী কেন ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন তা জেনেও জানতে পারেন নি হোসেন সাহেব। মায়ের পরপুরুষের হাত ধরে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারেনি সাজ্জাদ।দিনে দিনে বেড়ে উঠেছে antisocial psychopath হিসেবে। কবি হয়ে ওঠার স্বপ্নেবিভোর সাজ্জাদের ঠাই হয় মাদকাসক্তদের চিকিত্সাকেন্দ্রে। সাজ্জাদের দুই বন্ধু মজিদ আর আতাহার। মজিদের কাছে কবিতা আরাধনার বস্তু।সুবর্ন পত্রিকার সম্পাদকের মতে সত্যি সত্যি কবি হয়ে উঠছিল মজিদ। জাহেদার নিষ্কলুষ প্রেমও তার আরাধ্য। শেষে কবিত্ব বিসর্জন দিয়ে সংসারী হয় মজিদ। এদিকে লেখার হাত যেমনই, হোক কবিতার জন্য প্রায় সবকিছুই বিসর্জন দেয় আতাহার।কবিতা আর নীতু এই দুইজন বাদে বাকি সবই জীবন থেকে বাদ গেছে তার।
উপন্যাসের শেষ অংশে এসে তারাশঙকরের নিতাই কে কোট করছেন লেখক ("জীবন এত ছোট কেনে")। মানুষের জীবনের অপ্রাপ্তি নিয়ে উপন্যাস সম্ভবত অনেক লেখা হয়েছে। তারাশংকরের "কবি"র পর হুমায়ুন আহমেদের "কবি" যেন এক সিক্যুয়েল।হয়তো অন্য কোন লেখকের লেখায় আবার আরো "কবি" লেখা হবে। যতবার লেখা হবে ততবারই হয়তো আমি এমনটাই মুগ্ধ হয়ে পড়ব।