Friday, October 20, 2017

Numerical Methods: সংখ্যাগনিতের পদ্ধতি|| চলেস্কি(Cholesky) ডিকম্পোজিশন

Posted by with No comments
Cholesky Decomposition হচ্ছে একটি বিশেষ পদ্ধতি যার সাহায্যে একটি symmetric, positive definite matrix কে দুটি বিশেষ matrices এর গুনফল হিসেবে প্রকাশ করা যায়। এই ২ টি বিভাজিত ম্যাট্রিক্স এর একটি Lower Triangular Matrix (L)  এবং অন্যটি তার Transpose (LT)




উপরের সমীকরন থেকে আমরা বলতে পারি কোনাকুনি বরাবর উপাদান (diagonal elements) গুলোর জন্য





নিচের বাকি উপাদনের জন্য




C প্রোগ্রামিং এর সাহায্যে এর প্রয়োগ এরকম-

Friday, September 16, 2016

Oktoberfest Zinzinnati

Posted by with No comments
জার্মান যুবরাজ লুডভিগ আর স্যাক্সন রাজকন্যা থেরেসা সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন 1810 সালের অক্টোবর মাসের 12 তারিখে।বিয়ের উতসবে আমন্ত্রিত ছিল রাজ্যের সমস্ত মানুষ। মিউনিখের প্রবেশদ্বারের সামনের উদ্যানে নেচে গেয়ে রাজকীয় উতসব উদযাপন করে ব্যাভারিয়ানরা। আয়োজন করা হয় ঘোরদৌড় আর পনোত্সবের।পরে এই যুগল রাজা এবং রানী হন। প্রতি বছর একই দিনে এই উতসব একটা ট্রেডিশনে পরিনত হয়।এটাই একসময় হয়ে দাড়ায় মিউনিখবাসীর সবচে বড় শারদীয় আনন্দোতসব "অক্টোবরফেস্ট"।জার্মানদের দাবি এটাই পৃথিবীর সবচে বড় লোকজ উত্সব।

আজকের সিনসিনাটি অধিবাসীদের একটা বড় অংশ মূলত ব্যাভরিয়ানদের বংশধর। পূর্বপুরুষদের হাত ধরেই আমেরিকাতে অক্টোবরফেস্টের আমদানি। সময়ের সাথে সাথে উতসবের দিন ক্ষন পরিবর্তন হতে হতে অক্টোবর মাসের সেই উতসব এখন চলে এসেছে সেপ্টেম্বরে। আর আমেরিকার সবচে বড় অক্টোবরফেস্ট "Oktoberfest Zinzinnati "এখন চলছে সিনসিনাটিতে।

Wednesday, June 1, 2016

জলপ্রপাত আর বাতিঘরের সন্ধানে...

Posted by with No comments

মেমোরিয়াল ডে হচ্ছে আমেরিকার শহীদ দিবস। সোমবারের ছুটির কারনে লং উইকেন্ড আমেরিকাবাসীর জন্য ভ্রমনের বিশাল উপলক্ষ্য।এবছর নাকি ৩.৮ মিলিয়ন মানুষ শুধু মাত্র ভ্রমনের জন্য ঘর থেকে বের হয়েছে। আমরাই বা আর বাদ পড়ব কেন। দিনা আর আমি মিলে দিনব্যাপি ঘরাঘুরি দিয়ে ফেললাম ওহাইওর উত্তরে কায়াহাগা ভ্যালি আর লেক ইরির সৈকতে।কায়াহাগা ভ্যালিতে ওহাইওর একমাত্র ন্যাশনাল পার্ক, আর মার্বলহেডের বাতিঘর তো সেই কবে থেকেই বাকেট লিস্টে পড়ে আছে।ঘুম থকে উঠতে তাড়া ছিল না কোন।সকাল ৯ টায় বাসা থেকে বের হয়ে চেপে বসলাম ছোট শেভ্রলে মালিবুতে। গন্তব্য কায়াহাগা ভ্যালির সবচে দৃষটিনন্দন ঝর্না ব্র্যান্ডিওয়াইন ফলস।




ব্র্যান্ডিওয়াইন ফলস: 

জিপিএস ফলো করেই প্রপাতের সবচে কাছের পার্কিংস্পটে পৌছে যাওয়া যায়্।সেখান থেকে 1.5 মাইল দৈর্ঘ্যের হাইক অথবা ঢাল বেয়ে নেমে যাওয়া বোর্ডওয়াক। আপাত সহজ পন্থাটাই বেছে নেয়া হল। দর্শনার্থীদের চলার জন্য 
পাথুরে গিরিপথের ধার ঘেষে চলে যাওয়া কাঠের বাধানো পথ বেয়ে নেমে যাই আমরা।




গাছের ফাঁক থেকে একটু করে জলপ্রপাতের ভেসে ওঠা



সিড়ি থেকে দেখা যাচ্ছে অবজার্ভেশন ডেক


এখানে একটা সেল্ফি না হলে কিভাবে কি?


এক ভদ্রমহিলা এগিয়ে এসে আমাদের একটা যুগল ছবি তুলে দিলেন।




৬৫ ফুট উচু থেকে ঝরে পড়া পানি আর পাশের  পাথরের স্তরে রংধনুকের রঙ।


ছরার পাশে লতা রং বেরংয়ের ফুল আর গুল্মের সমাহার


খুঁজেপেতে মেক্সিকান খাবারের একটা দোকান পাওয়া গেল।পেট ঠান্ডা করাটাই লক্ষ্য।চিকেন কেসাডিয়া (quesadilla)আর চিকেন স্যুপ অর্ডার করা হল।এখানে খাবার বেশ সস্তা।মাত্র ৫ ডলারের স্যুপ দেখে ভাবলাম এটা হয়তো পরিমানে কম হবে।কিন্তু পরে সার্ভিং সাইজ দেখে আমাদের চোখ কপালে। আর তার ্উপর যখন ক্যাটারারকে বললাম স্যুপের বাটি দিনার দিকে দিতে।তার চোখের ভাজ দেখেই পেটের ভিতরের ভাষা স্পষ্ট পড়া গেল--- "খাইসে। এই মেয়ে এই বাটি শেষ করবে!!!"



দুজনে মিলে একবাটি স্যুপ আর কেসাডিয়ার একটু অংশ সাবাড় করে বাকিটা বক্স করে নিয়ে চললাম বিভার মার্শ।যাবার পথে কায়াহাগা টুরিস্ট ট্রেইন সার্ভিস আমাদের পথ রোধ করে 2 মিনিটের জন্য।



জিপিএস ধরে রিভারভিউ রোডে ১৫ মিনিট ড্রাইভ করে পৌছে যাই বিভার মার্শ এর ট্রেইল হেডে।

বিভার মার্শ : 

বিভার মার্শএর গল্পটা বেশ সুন্দর।নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে এই জলাশয়ের সাথে বিভারের যোগ আছে। শত বছর আগে পর্যন্ত কায়াহাগা ভ্যালিতে বিভারদের অভয়ারন্য ছিল। নগরায়নের ফলে মানুষের কাছে তারা হারায় তাদের আবাসস্থল।আর গায়ের লোমশ ফারের জন্য পড়ে শিকারীর ফাঁদে। বিংশ শতকের শুরুর দিকে বিভার ট্র্যাপিং নিষিদ্ধ করা হয়।ধীরে ধীরে বিভারের সংখ্যা বাড়তে থাকে।

বিভারদের একটা খুবই অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য আছে।এরা স্থপতি। এরা পানির মাঝে বা জলাশয়ের ধারে গাছের শুকনো লতাপাতা আর কান্ড দিয়ে ঘর তৈরী করতে পারে।সবচে অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে এরা এদের স্থাপত্য প্রতিভা দিয়ে নদী বা জলাশয়ে বাঁধ তৈরী করতে পারে।এবং তারা সেটা করে।আর তাই বৃষ্টির পানির প্রবাহের উপর বাঁধ তৈরী করে এরা নিজেদের সুবিধামত জলাশয় তৈরী করে নেয়।এরকম একটি জলাশয় হচ্ছে বিভার মার্শ।

বিভার ট্র্যাপিং নিষিদ্ধ হওয়ায় বিভাররা ফিরে এসে কায়াহাগা ভ্যালির এই অংশে জোয়ারের পানি আর জমে থাকা বৃষ্টির পানিকে কাজে লাগিয়ে থেকে এই মার্শের জন্ম দেয়।বিভারদের প্রচেষ্টার ফসল এই মার্শের নামও তাই বিভারদের নামে।

দর্শনার্থীদের জন্য বাধানো মেঠোপথের মধ্য দিয়ে মাঝে মাঝে কাঠের সেতু/বোর্ডওয়াক তৈরী করা আছে। এই ছবিটা বোর্ডওয়াকথেকে তোলা। কচুরিপানার মত দেখতে এই জিনিসগুলো আসলে শাপলাজাতীয় একধরনের ফুলের গাছ(?)।





অগভীর এই জলাশয়ে আছে ব্যাঙ, বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, কচ্ছপ এবং পাখি। আর বিভার তো আছেই । ট্রেইল ধরে এগোতে থাকলে এক এক করে সবার সাথেই দেখা হয়। এখানে নাকি প্রায় ২৪০ প্রজাতির পাখি আছে।সবার সংগে দেখা হয় নি । একজন সারস আর বেশ কয়েক রকমের অজানা প্রজাতির পাখি।ভাল ক্যামেরা থাকলে অন্য পাখিগুলোর ছবি তোলার চেষ্টা করা যেত।





বোর্ডওয়াক পেরিয়ে বাধানো মেঠো পথের পাশে হালকা বেগুনি আর সাদা রংয়ের অসংখ্য ফুল।


একটু সামনেই এই ভ্যালির মূল নদী কায়াহাগা রিভার। যেমনটা ভেবেছিলাম তার তুলনায় বেশ ছোটই বলতে হবে নদীকে।নদীর পানিতে পা ভেজানোর লোভ দিনার।পথ থেকে সরে গিয়ে তাই নদীর পাড়ে গিয়ে দাড়াই আমরা। ডুবোচর চোখ পড়ে, একটু দূরে ছোট একটা ভেসে ওঠা চরে পরিযায়ী পাখির দেখা মেলে।পরিবেশের তাপমাত্রা ৯০° ফা হলেও পানি বেশ ঠান্ডা।

                            

                            


পথের উপর ভিসতা পয়েন্ট থেকেও একটা স্ন্যাপ নেয়া হল সেল ফোনের ক্যামেরায়। 

প্রচন্ড গরমে হেটে ক্লান্তি ছাপিয়ে অভিভূত মন ।





পথের ধারে জঙ্গলের ভেতর খামারি করছে কেউ।লোকজন নেই একা উদাস ফসলের ক্ষেত।




ফিরতি পথে দেখা মেলে বিভার মহরাজার।


বিভার মার্শ এর ট্রেইলহেডর এমাথা থেকে ওমাথা প্রায় ৩.৫ মাইলের ট্রেইল । মোট ৭ মাইল হেঁটে ক্লান্ত শরীর এবার একটু জিরোতে বা জুড়োতে চায়। তাই এবার ছুটে চলা লেক ইরির পাড়ে।

মার্বলহেড বাতিঘর:

লেক ইরির পাড়ে শান্ত সৌম্য এই বাতিঘরের ব্যাপারে লেখার ভাষা নেই। শুধু ছবি দিয়েই হয়তো বোঝানো সম্ভব কতটা মোহনীয় এই এলাকা।













বাতিঘর থেকে আমাদের ফেরার পথ প্রায় ২২০ মাইল। ফিরতি পথে highway 163 এর উপর Dairy Dock নামে স্থানীয় একটা আইসক্রিমের দোকানে লম্বা লাইন দেখে গাড়ি থামাই। vanilla-orange serbet twist নামের এই আইসক্রিমের স্বাদ অভূলনীয়।




এর পর শুধুই বাড়ি ফেরা। ৪ ঘন্টার একটানা পথচলা।


Memorial Weekend## May 28, 2016 ## Saturday

Wednesday, April 13, 2016

পয়লা বৈশাখ -প্রবাসি শ্রমিকের দপ্তর থেকে

Posted by with No comments

আমি আমেরিকায় অবতীর্ন হই কলম্বাসের ৫১৮ বছর পর। প্রথম যে ফাস্টফুড খাই তার নাম চিকেন বুরিতো।একটা মেক্সিকান খাবার, রুটির ভেতর ভাত আর টমেটোর প্রলেপ দেয়া সিদ্ধ মাংস। অর্ডার দেবার সময় কাউন্টারের ভদ্রলোক জিজ্ঞেস করলেন "for here or to go" মানে "খাইবা ? না লইয়া যাইবা?"। কিরা কাইট্টা কইতারি আমি একটা শব্দও বুজতারি নাই। আমার মনে হল আমি শুনলাম "আইয়ইয়ো" । আমার সহজাত প্রত্যুত্তর "what?" তার প্রত্যুত্তর "আইয়ইয়ো" ..."what?"..."আইয়ইয়ো" ..."what?"..."আইয়ইয়ো" ... কে এসে উদ্ধার করেছিল মনে নাই । সম্ভবত ইশান। সেই থেকে ফাস্টফুড শপে অর্ডার দেয়া আমার কাছে চরম ভীতিকর ব্যাপার। কিন্তু রান্নাবান্না পারি না।ফাস্টফুড ছাড়া উপায় নাই ।

বুরিতো


নেসিসিটি ইস দা ডিনেরিস টারগারিয়ান অব ইনভেনশন। সবচে কম শব্দ খরচ করে কিভাবে অর্ডার দিতে হয় সেটা শিখে ফেল্লাম একসময়। মেনু দেখে আইটেমের নাম্বার আর তার সাথে to go/for here। যেমন "deal 3 to go"। এইভাবেই মনে হয়  বছর ঘুরে গেছে। ম্যকডোনাল্ডস বা টাকোবেলে এই সিস্টেমে চলে। কিন্তু সাবওয়ের মতন শপে চলে না। সেখানে বলে দিতে হয় -রুটি কিরাম হবে, চীজ কোন টাইপের হবে, চিকেনের বা বিফের কয়েক রকমের পুরিয়া আছে কোনটা নিবেন? এই সব প্রশ্নের উত্তর দিতেই হয়।শুরুতে সংগে কোন চাল্লু বন্ধুকে নিয়ে যেতাম এবং তাকে আগে ঠেলে দিতাম।তারপর তার পিছন পিছন গিয়ে .."সেইম এজ হিম" ; ফোনে পিতজা অর্ডার দেয়া আমার কাছে রীতমত দু:স্বপ্ন।
এখন আমি ফোনে পিতজা অর্ডার দেই।ভালোই দেই।বুঝতেও পারি। বুঝাইতেও পারি।তবে কোন চিজটা সুইস কিম্বা কোনটা আমেরিকান আর কোনটা পেপারজ্যাক মাঝেমধ্যে গুলায় যায়।মোতসারেলা বা ক্রিম চীজ চিনি দেখেই।"সেই আমি থেকে এই আমি" বিবর্তনের চাক্ষুষ প্রমান।
আমার এক বাংলাদেশি বন্ধু একবার অফিসে তার একগাদা য়্যোরোপিও কলিগের ভীড়ে বসে বলেছিল "চীজের এত্তরকম নাম দেওয়ার কি মর্তবা? সবই তো এক রকম।" য়্যোরোপিওরা যেরকম টাসকি খাইসে 'ব্যাপকের তুলনায় কিসুই না' বললেও কম বলা হয়।পরদিন তাদের একজন সত্য সত্য 6/7 রকমের পনির নিয়ে এসেছিল বন্ধুবরকে দেখানোর জন্য যে 7 খানার টেষ্ট 7 রকমের। বলতে বাধা নেই আমার বন্ধুর কাছে চীজের টেস্ট সেবারেও সব একই রকম লেগেছিল।"কিছু স্বাদের শত চেষ্টায়ও বিবর্তন হয়না" তার চাক্ষুষ প্রমান।


কত্ত রকমের যে চীজ 

চীজ নামক বস্তু আমাদের ফ্রিজে বছরে একদিনের জন্য জায়গা পায়না কিন্তুক কোন একটা এলাকার মানুষ চীজের মাসব্যাপী মেলা বসায় দিতে পারে। বৈশাখের একতারিখে কেউ প্রতিদিনের মতই সকাল বেলা রিকশা চালাতে যাবে, কেউ কেউ আজকে দিনটা উতসবের উপলক্ষ্য মেনে সেই রিকশায় বেড়াতে বের হবে। সংগে সমবয়সী বন্ধুও থাকতে পারে বউও থাকতে পারে মা-বাবাও থাকতে পারে।কেউ দোকানে হালখাতা আয়োজন করবে কেউ সেই হালখাতার অনুষ্ঠানে শুধুই মিষ্টির লোভে যাবে। কেউ ভীনদেশি, হিন্দুয়ানি সংস্কৃতি ভেবে নিয়ে আস্তাগফিরুল্লাহ পড়বে।কি বৈপরিত্য, "হোয়াই দিস কোলাবেরি " ......মাথা ঘুরায়। কথা হইল কথা সেইটা না, কথা হইল আমার কিছু ভাল লাগুক নালাগুক অন্যের সেই কিছু একটা ভাল লাগতেই পারে।সেই কিছু একটা গরুর মাংস হইতে পারে , মঙ্গল শোভা যাত্রাও হইতে পারে।কিনতু অন্যের ভাল লাগা না লাগার উপর নিজের বাম হাতের যে কোন অধিকার নাই সেইটাও মাথায় রাখা লাগবে।



কথা অনেক ঘুইরা গেছে ;বলছিলাম বুরিতোর কথা। সেই বুরিতো প্রথমদিন খেয়ে অতি জঘন্য লেগেছিল।আমেরিকান কোকাকোলার নিদারুন স্বাদের নিচে সেই বিস্বাদ চাপা দিয়ে আস্ত বুরিতো পেটে চালান দিয়েছিলাম। আজকাল বুরিতো তেমন আর খারাপ লাগে না । জীবনের এক পঞ্চমাংশ এই বিধর্মি দেশে পার করে আমার স্বাদেন্দ্রীয় বিবর্তিত হয়েছে বোধ হয়।আগ বাড়াইয়া কেউ আবার ভাইবা বইসেন না আমি শুয়োর খাই কিম্বা চার্চে যাই কিম্বা রঙিন পানিতে আসক্ত।আমি নিতান্তই সাদাসিদা মানুষ ধার্মিক না হতে পারি কিন্তু আল্লা(হ)রে ডরাই।


এইখানে শিক্ষনীয় হইল কালকে যা আমার অপছন্দের ছিল আজ আর তা নাই । সংস্কৃতি জিনিসটাও সেইরকমই কাল যা ছিল আজ আর তা নাই।সংস্কৃতিকে জোর করে চাপায় দেয়া যায়না জোর করে কেড়েও নেয়া যায় না।মঙ্গল শোভাযাত্রা পলাশি শাহবাগ চারুকলার পর্যন্তই। ওটা এখনো সর্বজনীন নয়, ...পান্তা-ইলিশ... তাও মনে হয় শুধু ঢাকাতেই । তবে লাল সাদা কাপড় পড়ে ঘুরতে বের হ্ওয়াটা মনেহয় আগের মতই আছে সারাদেশে। এদিকে আমি আমার বাসায় নতুন সংস্কৃতি শুরু করব ভাবছি।আমি আর আমার রুমমেট একখানা মাছ খুজে পেয়েছি এই দেশে, যা খেতে 76.54321% ইলিশ মাছের মতন । দাম এইখানে ইলিশের দামের তিন ভাগের একভাগ।পান্তা খাইতে ভাল্লাগে না।তবে এই মাছটা খাইতে ভাল্লাগে।তাই বৈশাখে এইটা পান্তা ছাড়াই খাব। আমার বাসায় আজকে থেকে এইটাই সংস্কৃতি;নতুন কোন সংস্কৃতি আবিষ্কারের আগে পর্যন্ত। Tenualosa ilisha -র উপর বাংলাদেশে  নিষেধাজ্ঞা জারি আছে । শেখাসিনা নাকি খাবে না।আমিও খাবনা। কিন্তু Alosa sapidissima - র উপর আমেরিকায় কোন ব্যান নাই।আমি খাব, ইলিশানুভুতির তোয়াক্কা না করেই খাব।

আমেরিকান ইলিশ মাছ 

পয়লা বৈশাখ সবার মনের মতন হোক।শুভ নববর্ষ।



বৈশাখ ১, ১৪২৩। মিলফোর্ড, ওহাইয়ো ।

Monday, February 22, 2016

অডিয়েসেলারিয়ো জোছনা বিলাস ... adiyeselarinus Lunatismus ....

Posted by with No comments

শুক্লপক্ষের পঞ্চদশ তিথি [ ফেব্রুয়ারির ২২, ২০১৬]







Photcredit: Pentax XG-1 
at 36.1X zoom

Review: কবি : Humayun Ahmed

Posted by with No comments
কবি

এই বইয়ের রিভিউ লেখার সাধ্য আমার নাই।তবে অনুভুতির তরজমা তো করতেই পারি। এই উপন্যাস একাধিক ব্যর্থ মানুষদের উপাখ্যান। রশীদ সাহেব মেয়ের বিয়ে দিতে পারছেন না , ডিগ্রীধারি বেকার দুই ছেলে সহ এক পরিবারে রোজগার চালু রাখতে বুড়ো বয়সে ছাত্র পড়াতে হচ্ছে। স্ত্রী কেন ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন তা জেনেও জানতে পারেন নি হোসেন সাহেব। মায়ের পরপুরুষের হাত ধরে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারেনি সাজ্জাদ।দিনে দিনে বেড়ে উঠেছে antisocial psychopath হিসেবে। কবি হয়ে ওঠার স্বপ্নেবিভোর সাজ্জাদের ঠাই হয় মাদকাসক্তদের চিকিত্সাকেন্দ্রে। সাজ্জাদের দুই বন্ধু মজিদ আর আতাহার। মজিদের কাছে কবিতা আরাধনার বস্তু।সুবর্ন পত্রিকার সম্পাদকের মতে সত্যি সত্যি কবি হয়ে উঠছিল মজিদ। জাহেদার নিষ্কলুষ প্রেমও তার আরাধ্য। শেষে কবিত্ব বিসর্জন দিয়ে সংসারী হয় মজিদ। এদিকে লেখার হাত যেমনই, হোক কবিতার জন্য প্রায় সবকিছুই বিসর্জন দেয় আতাহার।কবিতা আর নীতু এই দুইজন বাদে বাকি সবই জীবন থেকে বাদ গেছে তার।

উপন্যাসের শেষ অংশে এসে তারাশঙকরের নিতাই কে কোট করছেন লেখক ("জীবন এত ছোট কেনে")। মানুষের জীবনের অপ্রাপ্তি নিয়ে উপন্যাস সম্ভবত অনেক লেখা হয়েছে। তারাশংকরের "কবি"র পর হুমায়ুন আহমেদের "কবি" যেন এক সিক্যুয়েল।হয়তো অন্য কোন লেখকের লেখায় আবার আরো "কবি" লেখা হবে। যতবার লেখা হবে ততবারই হয়তো আমি এমনটাই মুগ্ধ হয়ে পড়ব।

কবি by Humayun Ahmed
My rating: 4 of 5 stars

View all my reviews

Tuesday, September 15, 2015

অসমাপ্ত আত্মজীবনি : শেখ মুজিবুর রহমান

Posted by with No comments


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আত্মজীবনি পড়া শেষ করলাম। তার নিজের হাতে লেখা ও তার মেয়েদের হাতে সম্পাদিত বইটিতে তার রাজনৈতিক জীবনের প্রথম দিকের দিনলিপি এখানে তিনি তুলে ধরতে সচেষ্ট হয়েছেন । তার লেখার ভঙ্গি অনেকটা গল্পের মতন; একটু যেন সৈয়দ মুজতবা আলির স্টাইলটা আসে ।  আড্ডার আমেজ আছে ; অতটা যদিও সরস বর্ননা নয়, তবে পরের অনুচ্ছেদটা পড়তে ইচ্ছা করে। শেখ মুজিব বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচে উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব।তার মানসজগতের পরিচয়ের খোজ নেবার ইচ্ছা বাঙালির হতেই পারে। আমিও তার ব্যতিক্রম নই । এই বইয়ের ঘটনাবলি ১৯৪৩ থেকে ১৯৫৫ সময়কার । তখনো আইয়ুব খান ক্ষমতায় আসেন নি। ইস্কানদার মির্জা মাত্র দৃশ্যপটে হাজির হচ্ছেন।

শেখ মুজিবের শক্তিশালী  ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে তেমন একটা ধারনা পাওয়া যায় না এই বইতে। তার নিজের লেখাতেও তিনি শহীদ সোহরাওয়ার্দির ছায়ায় ঢাকা পড়ে যাচ্ছেন প্রায়ই; তবে সংগঠক হিসবে তিনি যে অসাধারন তার লেখাতেও তা স্পষ্ট। ১৯৪৩ এ যখন মুসলিম লীগকে অভিজাতদের ড্রয়িংরুম থেকে বের করে রাজপথে নামানো হচ্ছে তার মূল পরিকল্কপক সোহরাওয়ার্দী আর কর্মী এই শেখমুজিব। সেই মুসলিম লীগ যে অবিভক্ত বাংলায় সরকার গঠন করল তার পেছনে তার অসামান্য অবদান তার। ১৯৪৯ সালে মুসলিম লীগের মেরুদন্ডহীন শীর্ষ নেতারা যখন নবগঠিত রাষ্ট্রের নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ হয়ে একের পর এক পাঞ্জাবি আমলাদের হাতে দেশ তুলে দিচ্ছিলেন। তখন একটি বিরোধি দলের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিল। দেশপ্রেমিক মুসলিম লীগের নেতারা তখন কোনঠাসা ক্ষমতায় থাকা নেতাদের কাছে। তাদের নিয়ে ভাসানির সভাপতিত্বে গঠন করা হল আওয়ামী লিগ। এই দলটাও গুছিয়ে দিলেন মূলত শেখ মুজিব। আওয়ামী লিগের ভাসানি আর কৃষক প্রজা পার্টির ফজলুল হক বার্ক্যধজনিত কারনে চারিত্রিক দৃঢ়তা দেখাতে পারছেন না। আজ এক বলছেন তো  কাল আরেক কথা বলছেন।দল প্রতিদিন ভাঙে আর গড়ে। শেখ মুজিব তাদের দুজনের উপর বিরক্ত কিন্তু একবারও মুখের উপর কিছু বলছেন না। তার সততা আর স্পষ্টবাদিতার জন্যই তাকে মানুষ বিশ্বাস করত। আর নিজে বড় সরকারি পদে না থেকেও সরকারে যাবার জন্য শেখ মুজিবকে দিয়ে মানুষের আস্থা অর্জন করিয়ে নেয়াটা তখনকার বড় নেতাদের জন্যও অনেকটা অপরিহার্য ছিল। পার্টির হয়ে সভা করছেন, জনগনের কাছে কখনো আওয়ামিলীগের বক্তব্য তুলে ধরছেন, কখনো যুক্তফ্রন্টের যৌক্তিকতা; আর দুদিন পর পর জেলে ঢুকছেন। দ্বিগুন জনপ্রিয়তা নিয়ে আবার বের হয়ে আসছেন। এই অসমাপ্ত আত্মজীবনিতে এর চে বেশি খুব একটা ইনফরমেশন নেই ।

প্রথম ৭৫ পৃষ্ঠা উঠতি রাজনীতিকদের জন্য কাজে লাগতে পারে।এই অংশেই মূলত তিনি এলাকার মানুষের জন্য কাজ করতে করতে তাদের মানুষ হয়ে উঠছেন। একটা সমাজের নেতা হতে হলে সেই সামাজের একজন হতে হয়। শেখ মুজিব সেটা হয়ে উঠেছিলেন মূলত তার স্কুল জীবনেই। তবে এই অংশে যে ভাষায় তিনি হিন্দু বাড়ির লোকজনের মানসিকতার সমালোচনা করেছেন এই যুগে হলে তাকে মৌলবাদি ট্যাগ খেতে হত সন্দেহ নাই। অবশ্য পার্টিশনের পরে এই প্রতিবেশিদের যেন দেশ ছাড়তে না হয় তার জন্যে নিজেই অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন।

জেলে বসে শেখ মুজিব এই ডায়রি লিখছেন। ডায়রীর শেষ দুই তৃতীয়াংশে প্রতিটা ঘটনার বর্ননায় মুসলিম লিগের প্রতি তীব্র সমালোজনা ছুড়ে দিচ্ছেন।  মুসলিম লীগ আমলা নির্ভর হয়ে যাচ্ছে, গভর্নর জেনারেল সব ক্ষমতা নিয়ে নিচ্ছে, বিরোধি দলকে সহ্য করা হচ্ছে না, বিরোধি নেতাদের নিরাপত্তা আইনের অজুহাতে জেলে ভরা হচ্ছে। আশ্চর্য ব্যাপার হচ্ছে মুসলিম লীগের যেসব আচরনের সমালোচনা তিনি নিজে করছেন ঠিক একই আচরন তিনি নিজে করেছেন  ৭২ থেকে ৭৫ অব্দি। শেরে বাংলা আর ভাসানির উপর ঠিক যে কারনে তিনি বিরক্ত হচ্ছেন তেমনি তার আচরনে বিরক্ত হচ্ছেন তাজউদ্দিনেরা।

ড. জাফর ইকবাল যেভাবে বইটির প্রশংসা করেছেন ততটা প্রশংসা পাবার মতন জিনিস এইটাকে আমার মনে হয় নাই। প্রথম কথা- বইটা অসম্পূর্ন। এবং এটা থেকে বঙ্গবন্ধুর পরিনত বয়সের রাজনৈতিক দর্শনের কোন খোঁজ পাওয়া যায় না । যে বিবর্তন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের রূপকার হিসেবে আবির্ভূত হতে যাচ্ছিলেন তার শুরুর সময়টার কিছু ধারনা পাওয়া যাবে মাত্র। তবে প্রথম ৭৫ পৃষ্ঠা উঠতি রাজনীতিকের চিন্তা জগতের বাড়ির লিভিংরুম হতে পারে।